শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে বেসরকারি স্কুল ও কলেজে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল করা হয়েছে। ২২ মে ২০২৫ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানানো হয়। এই সিদ্ধান্ত ১৫ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
কী আছে নতুন সিদ্ধান্তে?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-২ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী:
এখন থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা প্রযোজ্য হবে না।
শুধুমাত্র সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) এবং শরীরচর্চা শিক্ষক পদের ক্ষেত্রে আগের মতো যোগ্যতা ও শর্তাবলি বহাল থাকবে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা বোর্ড, এনটিআরসিএ ও প্রশাসনিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
এর আগে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠির মাধ্যমে মতামত চাওয়া হয় নারী কোটার বিষয়টি নিয়ে। পরবর্তীতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, সরকারি চাকরির কোটা নীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগকেও। ফলে সরকারি চাকরির মতো এখানেও ৭% সংরক্ষিত কোটা বহাল থাকবে:
- ৫% মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য
- ১% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য
- ১% শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য
নারী প্রার্থীদের জন্য কী বার্তা?
যদিও নারী কোটা বাতিল হয়েছে, তবে নারীরা যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে পুরুষদের সঙ্গে সমান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। সরকার নারী শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে আলাদা প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা যায়।
প্রভাব বিশ্লেষণ:
- ইতিবাচক দিক: নিয়োগে মেধার ভিত্তিতে সমান সুযোগ
- আশঙ্কা: নারী প্রার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে
শেষ কথা
নারী কোটা বাতিল একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন, যা নিয়োগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্তকে অনেকে স্বাগত জানালেও, এর বাস্তব প্রভাব সময়ই বলে দেবে।